সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী, সন্তান সহ অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১২ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সোনারগাঁও জামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বস্তল এলাকার প্রবাসী মো. কবির হোসেনের স্ত্রী জোসনা বেগম ও তার ৭ বসরের সন্তান ইয়াকুব কে নিয়ে বন্দর থানাদিন মদনপুর সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে টাকা উঠানোর জন্য বাড়ী থেকে বের হয়। তবে টাকা উঠিয়ে বাড়ীতে না ফেরায় সন্ধায় তার বড় ছেলে মো. রাকিব তাকে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনে ফোন দিলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এতে তাকে খুজার জন্য এলাকায় ও আত্বীয় স্বজনের বাসায় খবর নেয় তার ছেলে। খোজাখোজির পর কোথাও না পেয়ে এলাকায় গন্যমান্য ব্যাক্তিবগ্যকে যানানো হয়, তারা প্রথমে ধৈর্য ধরার জন্য আশ্বাস দেয়। এক এক করে কয়েক দিন শেষ হলে মাকে না পেয়ে দিশে হারা হয়ে পরে ছেলে রাকিব। পারিবারিক সূত্রে যানাযায় গত কয়ে মাস যাবত একই এলাকার ভাড়াটিয়া, কুমিল্লা জেলাদিন চাঁন্দীনা থানার বদরপুর বাজার আওরাল গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে মো. অঃ রব জোসনা বেগমের বাসায় প্রায়ই যাওয়া আশা করতো।
তাতে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। এদিকে জোসনা বেগম মাস তিনেক আগে বেশ কিছু টাকা ঋণ করে তার মেয়েকে বিয়ে দেয়। এই ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে তার স্বামী তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠান।
টাকার সংবাদ আব্দুর রব পেয়ে জোসনা বেগমের কাছে টাকা ধার চেয়ে ছিলেন, এতে জোসনা বেগম রাজি না হওয়ায় আব্দুর রব তাকে টাকা ধার দিতে বাধ্য করতে চায় এবং না দিলে তার পরিণাম ভালো হবে না বলে ভয় দেখায়, এরপর থেকে জোসনা বেগম তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু গত ১২ জানুয়রী জোসনা বেগম বাড়ী থেকে বের হবার পূর্বে কয়েক বার তার ফোনে ফোন আসে এ সময় ফোনে কথা হয়, এক সময় ফোনের কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটে। এরপর জোসনা বেগম তার ছোট ছেলে ইয়াকুব কে নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে বাড়ি থেকে বের হয় এবং টাকা তুলে বাড়িতে ফিরেনি তার সাথে টাকা ছাড়াও প্রায় সাত বুড়ি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ছিল।
এরপর থেকে আব্দুর রব কে এলাকায় দেখা যায়নি। তাই পারিবারিক সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে মো. আব্দুঃ রব (চোরা রব) টাকার জন্য তার সাংগপাংগ নিয়ে এই অপহরনের ঘটনাঘটিয়েছে।
এবিষয়ে গত ১৭ জানুয়ারী রবিবার বেলা ১২ টায় সোনারগাঁ থানাদিন তালতলা পুলিশ ফাড়িতে তার বড় ছেলে মো. রাকিব বাদি হয়ে একটি অপহরণের অভিযোগ করেন। অভিযোগের পেক্ষিতে তালতলা ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ মো. আহসানউল্লা সাংবাদিক দের বলেন , আমি গত ১৭ জানুয়ারী রবিবার বেলা ১২ টায় একটি অপহরণের অভিযোগ পাই এ বিষয়ে আমরা কাজ করে জাচ্ছি, তবে যতটুকু জেনেছি জোসনা বেগম আব্দুঃ রব এর সাথে স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছে। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।