আরিফ খাঁন, স্টাফ রিপোটার: পাবনা সুজানগর উপজেলার বাদাই নদীতে অবৈধ সুতিজাল উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পাবনা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সুতিজাল উচ্ছেদ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিসট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জনাব এস, এম, আহসান হাবীব, সহকারী প্রকৌশলী জনাব এমরান হোসেন সহ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জানান “অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর আওতায় আগামি ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে সমগ্র বাংলাদেশে একযোগে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হবে। পাবনা জেলা হতে সুজানগর উপজেলার বারনাই নদীকে উচ্ছেদের জন্য নির্বাচণ করা হয়েছে। এছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় সমস্ত ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পর্যায়ক্রমে খনন ও নদীর স্বাভাবিক গতিপথে বাঁধা সৃষ্টিকারী সমস্ত অবৈধ এনক্রসমেন্ট উচ্ছেদ বা অপসারন করা হবে। ফলে নদী তাঁর স্বাভাবিক নাব্যতা ফিরে পাবে এবং জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় আমাদেরকে সঠিকভাবে নির্দেশনা প্রদান করছেন ও সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক শতবর্ষ ব্যাপী ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে নদী ও জলাশয়সমূহ তাঁর আপন প্রাণ ফিরে পাবে ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আঘাত হতে বাংলাদেশ অনেকাংশে সফল হবে। খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতাসহ পরিবেশগত ভারসাম্য অর্জনের লক্ষে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন খুবই জরুরী। আমরা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর সফল বাস্তবায়ন চাই। জানা যায় অসংখ্য সুতিজাল থাকায় নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। নদীর প্রস্থ বরাবর অসংখ্য বাঁশ সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে বাঁশের নিচে জাল বিছিয়ে, গাছের ডাল ফেলে এমনভাবে সুতিজাল তৈরী করা হয় যেন কোন মাছ কেন নদীর পানি স্বাভাবিকভাবে যমুনা নদীতে যেতে পারছে না। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এ সমস্ত সুতিজাল স্থাপন করেছে বলে জানা যায়। এ বছর গাজনার বিলের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি খুবই ধীর গতিতে নামছে। ফলে গাজনার বিল সংলগ্ন কৃষকরা এ বছর ৪৭০০০ হেক্টর জমিতে পেয়াজসহ রবি শস্য চাষাবাদ করতে পারছিল না কৃষকেরা।