কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ মহাসড়কে আলিপুর কুলিয়া, পারুলিয়া, সখিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় হালকা বর্ষার কারনে মহাসড়কের কার্পেটিং সড়কে কাদায় পিচ্ছিল হয়ে গেছে।
প্রধান সড়কের আশেপাশে ইটের ভাটা গুলোতে মাটি বহনের কারনে রাস্তায় মাটি পড়ায় সাতক্ষীরা- কালিগঞ্জ গামী মেইন সড়কের পাঁকা রাস্তাটি এখন কাদা রাস্তায় পরিণত হয়েছে।” “এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শ্যামনগর উপজেলার ও কালিগঞ্জ এলাকার হাজার হাজার মানুষেরা যানবাহন, মটরসাইকেলে চলাচল করে।
হালকা বৃষ্টিতে পাকা রাস্তার উপর কাদার সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পথচারীরা। “রাস্তা দিয়ে ভ্যান সাইকেল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে।”
ইটভাটার অবৈধ ট্রাক্টর- ডাম্পার, ট্রলি পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি উঠানোয় এই কাদার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। “এ নিয়ে জনগণের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিলেও প্রশাসনের নিরবতায় জনগনের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। “রৌদ্র হলে ধুলা বালি বর্ষা হলেই কাদা।”
উভয় সংকটে সাধারণ মানুষ, মনে হচ্ছে এই বিষয় যেনো দেখার কেউ নেই। কেউ কেউ বলেছেন ভাটা মালিকদের দখলে সব রাস্তা।
“বছরের পর বছর ধরে কতিপয় মাটি ব্যবসায়ীরা কার্পেটিং রাস্তাগুলোতে মাটি ফেলে কাঁচায় রাস্তায় পরিণত করে রাখলেও তাদের কেহ স্পর্শ করার মতো সাহস নেই বা তাদের প্রতি আইন প্রয়োগ হয় না।” শোনা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কতিপয় লোকজন এদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসহারা পেয়ে থাকেন।
গতকাল রবিবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, “হালকা বর্ষায় কাদার কারণে কুলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় যানবহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। “প্রায় ৩০টির মত মোটর সাইকেল কাঁদায় পড়ে গেছে।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,- ইটভাটার ট্রাক্টরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে ধুলায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছিল। এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাটি কাদাময় হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ।
এ রাস্তায় চলাচল করা মটরসাইকেল আরহি মেহেদী হাসান বলেন, “ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকনোয় ধুলা আর বর্ষায় কাঁদা হয়ে থাকে দেখে বুঝার উপায় থাকে না এটা কার্পেটিং রাস্তা। এতে বছর জুড়েই এই সড়কে চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। গত বছর এমন ঘটনা ঘটেছে তবুও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি কেন?
মহাসড়কটির বেহাল দশার কারনে দক্ষিনাঞ্চল শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবহাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীদের জেলার সদর হাসপাতাল, মেডিকেল হাসপাতাল সহ অন্যান্য হাসপাতালে নিতেও অনেকটা সময়ক্ষেপন ও বেগ পেতে হয় এ্যম্বুলেন্স ও রোগীর স্বজনদের।
তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না যায় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে আগামী বর্ষা মৌসুম তো আছেই। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। উক্ত বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান এলাকাবাসী।