সাটুরিয়া প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা তরুণীর ধর্ষণের রিপোর্ট দিয়েছেন তদন্ত কমিটি। হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় মাজিদুল করিম ধর্ষণ করেছে বলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ওয়ার্ড বয় মাজিদুলের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে । এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিয়ের নাটক সাজিয়ে ওয়ার্ড বয় মাজিদুলকে বাঁচানোর জন্য ৯দিন সময় পার করেছে গোপনে। ৯দিন পর গোপন ফাঁস হয়ে যাওয়ায় একটি নামমাত্র তদন্ত কমিটি করে দায় সেরে নিলেন কর্তৃপক্ষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার ওয়ার্ড বয় মাজিদুল ৬ লক্ষ টাকা কাবিননামা করে মেয়েটির সাথে বিয়ে সম্পন্ন করেন। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর জ্বর ও শারীরিক ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালের তিন তলায় নারী ওয়ার্ডে ভর্তি হয় ওই কিশোরী (১৬)। সে ধীরে ধীরে অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠে। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্ব ছিলেন ওই ওয়ার্ড বয় মাজিদুল। ওই রাতে হাসপাতালের শষ্যায় তরুণীর মা ঘুমিয়ে পরলেও তরুণী জেগে ছিল। এই সুযোগে মাজিদুল ওই তরুণীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে হাসপাতালের নিচ তলায় ওই মেয়েকে একটি কক্ষে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পরলে তাকে বারান্দায় ফেলে তিনি পালিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষণ হলে তৎক্ষণাৎ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে তরুণীর ভর্তি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ১৬ বছরের তরুণীকে হাসপাতালের পাঁচতলার নারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর গত শনিবার ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাটুরিয়া হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাদিককে কমিটির প্রধান করে সাত সদস্যর কমিটি করা হয়। এবিষয়ে সাটুরিয়া থানার ওসি মোঃ মতিয়ার মিঞা বলেন, মেয়েটি বা তার পরিবার থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। মা ও মেয়েকে থানায় আনা হলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায়।জনসাধারণ ধারণা করছে বিয়ের মাধ্যমে দফারফা হয়েছে বলে হয়তো মেয়েটি ও তার পরিবার ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করতে পারে।