সাটুরিয়া প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ সাটুরিয়ায় স্ত্রীকে গরম তৈল দিয়ে মুখ ও শরীর ঝলসে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী। দুই লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ার কারনে এ ঘটনা ঘটায় স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামে। গতকাল রাতে থানায় মামলা হলে রূপার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোঃ হাবিবুর রহমান রূপকথা টিভি.কমকে জানান। রুপার মা হাজেরা বেগম জানায়, আমরা নিরহ গরীব লোক। বিয়ের সময় যৌতুকের সব টাকা পয়সা জামাইকে দেওয়া হয়। বছর খানেক পর আরো দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। জামাইয়ের দাবীকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় সে আমার মেয়ের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাতো। স্বামীর অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে মেয়ে আমার বাড়ি চলে আসে। এরপর কোর্টে একটি মামলা করি। মামলা চলমান অবস্থায় মেয়েকে জমি লিখে দেওয়ার নাম করে মাস খানেক আগে বাড়ি নিয়ে যায় জামাই। গত মঙ্গলবার মেয়ে রান্নাঘরে রান্না করছিল। সে পিছন থেকে এসে কড়াইয়ের গরম তৈল মেয়ের মুখ ও শরীরে ছিটিয়ে দেয়। এতে মেয়ের মুখ ও শরীর ঝলসে যায়। বুধবার সকালে মেয়েকে সাটুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতাব্বররা আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করছে বলে রূপার মা জানায়।জানা গেছে, রাজৈর গ্রামের কালুমিয়া ফাজিলা বাড়ি গ্রামের সেলিমের মেয়ে রুপাকে ৫ বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে সে রুপার উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করত যৌতুকের জন্য। এ নিয়ে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু দমন আইনে একটি মামলা চলমান রয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মনিরুজামান জানান, গত বুধবার রুপা নামে এক গৃহবধূ মুখ পুড়া নিয়ে ভর্তি হয়েছে। তার মুখমন্ডল পুড়ে গেছে। তার চিকিৎসা চলছে বলে জানান। সাটুরিয়া থানার ওসি মোঃ মতিয়ার রহমান মিঞা জানান, এই ঘটনায় ৩ জনের নামে মামলা হলে রুপার স্বামী কালুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।