কামাল হোসেন,বার্তা কক্ষঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ছোট বড় প্রায় সব বাজারেই শীতের শুরুতেই মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরা পিঠা তৈরি ও বিক্রি শুরু করেছেন। উপজেলায় সর্বত্রই পিঠা ব্যবসায়ীদের চোখে পরে। শীতকাল মানেই পিঠা-পার্বণ। এ দেশ পিঠার দেশ। নানা রকম পিঠার বৈচিত্র্য এদেশে লক্ষ্য করা যায়। শীতকালে অন্যসব পিঠার মধ্যে জনপ্রিয় পিঠার নাম হলো ‘ভাপা পিঠা। চাউলের গুড়ো আর পাঁটালি গুড় দিয়ে স্বুস্বাদু এই পিঠা তৈরি করা হয়। শীতের সকালে ভাপা পিঠার সাথে অন্য কোনো পিঠার তুলনা চলে না। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকেই পিঠা তৈরির কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলার প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ীকে পিঠা বিক্রি করতে দেখা যায়। সূর্য ওঠার আগ থেকে শুরু করে সকাল নয়টা পর্যন্ত এবং বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত পিঠা তৈরি করতে দেখা যায়। ইন্তা নামে একজন পিঠা ব্যবসায়ী জানান, তিনি প্রতিদিন দুই বেলা মিলিয়ে প্রায় ত্রিশ কেজি চাউলের গুড়া প্রয়োজন হয়। সেই সাথে প্রয়োজনমতো পাঁটালি গুড়। দুই ধরনের চাল দিয়ে পিঠা তৈরি হয়। সাদা এবং লাল। তবে গুড় মেশানো পিঠার চাহিদাই বেশি। পিঠার দাম পাঁচ থেকে দশ টাকা। পুরো শীতের মৌসুমেই চলবে এই পিঠা বিক্রি। বাজারের পিঠা ব্যবসায়ী সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি প্রতিদিন সকালে প্রায় আট থেকে দশ কেজি চাউলের গুড়ার পিঠা বানিয়ে এক হাজার থেকে ১১শত টাকা বিক্রি করি।