স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর যাত্রাবাড়ি,ডেমড়া থানা এলাকার ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের ডেমরা জোনের এসি ইমরান হোসেন মোল্লা,এবং টি আই মাবিয়ানের নামে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা এবং ইজিবাইক থেকে কৌশলী ও বেপরোয়া চাঁদাবাজির খবর পাওয়াগেছে।ট্রাফিক পুলিশের নামে মাঠ পর্যায়ে এসব চাঁদাবাজির টাকা কালেকশন করছে মীর আনিস এবং রেজাউল করিম নামক দু ব্যাক্তি।
মাতুয়াইলে বিভিন্ন রোডে চলাচলরত হাইকোর্ট থেকে নিষিদ্ধ ব্যাটারী চালিত এসব অটোরিক্সা,মিশুক হতে প্রতিদিন ১২০ টাকা এবং ইস্টীকার বাবদ মাসিক ৩০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করেন বলে জানাগেছে।
মাসিক ৩০০ টাকা হারে ৪ হাজার মিশুক হতে ১২ লক্ষ টাকা এবং ৭০০ টি বড় অটোরিক্সা হতে প্রতিদিন ১২০ টাকা হারে প্রতিদিন ৮৪ হাজার টাকা চাঁদা তোলেন এ চক্রটি। কোন গাড়ির ড্রাইভার চাঁদা না দিয়ে এ রুটে চলতে পারে না। চাঁদা পরিশোধ করেই গাড়িতে ইস্টীকার লাগানোর কাজটি করেন মজনু,রাজু লাল রাউত,ভাইগ্না মাসুম,অপু,হাসান, ও কালু। কেহ স্টীকার না নিয়ে গাড়ি চালান কিনা সে বিষয়টি প্রতিদিন এসে তদারকি করেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট কনস্টেবলরা।
ইস্টীকার বিহীন গাড়ি পেলেই সোজা ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
চাঁদাবাজ মীর আনিসের সহযোগী রেজাউল প্রত্যক্ষভাবে এসব গাড়িতে লোকজন দিয়ে ইস্টীকার লাগিয়ে টাকা আদায় করে মীর আনিসের কাছে এনে জমা দেন। মীর আনিস এগুলো ট্রাফিক পুলিশের এসি ইমরান হোসেন মোল্লা, টিআই মাবিয়ানের মধ্যে ভাগাভাগি করে বাকী টাকা নিজেদের পকেটস্থ করেন।
চাঁদাবাজির টাকা তোলা হচ্ছে প্রকাশ্যেই।মীর আনিসের সহযোগী রেজাউল এর সাথে মোবাইল ফোনে আলাপ করলে সে জানায়,প্রতিমাসে যে টাকা আদায় করা হয় তা থেকে ট্রাফিক পুলিশ কে দিতে হয় একলক্ষ বিশ হাজার টাকা,এছারাও রাজনৈতিক নেতাদের দিতে হয় মোটা অংকের টাকা সবাইকে দিয়ে মাস শেষে তেমন কিছুই থাকে না।এ বিষয়ের সত্যতা জানতে ২৫ ফেব্রুয়ারী ২ টা ৪৮ মিনিটে টিআই মাবিয়ানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের নামে টি লেখা সাংকেতিক চিহ্ন যুক্ত বিভিন্ন ব্যাটারীযুক্ত গাড়িতে এসব ইস্টীকার লাগানো অবস্থায় পাওয়াগেছে। রাজনৈতিক প্রভাব এবং ট্রাফিক পুলিশের নামে এসব এলাকায় চলছে চাঁদাবাজদের হরিলুটের বানিজ্য। এদের লাগাম টেনে না ধরলে অপরাধের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।এসব রুটে চলাচলকারী ব্যাটারী চালিত যানবাহনের চালকদের আক্ষেপ তারা প্রতিদিন কষ্ট করে যে টাকা রোজগার করেন তার থেকে উল্লেখযোগ্য একটি অংশই মীর আনিস এবং রেজাউলদের ক্যাডাররা জোড় করে নিয়ে যাওয়ায় দারুন কষ্টের মধ্যে পরেছেন তারা।এসব চাঁদাবাজদের এমন অপতৎপরতা রুখতে শ্রমজীবি মানুষরা স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পুলিশের উর্ধতন মহলের কর্মকর্তাদের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।