বিশেষ প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জের বাজারে দেশি বেগুনের দাম অর্ধ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে বেশ আগেই। দাম বাড়তে বাড়তে প্রতিকেজি দেশি বেগুনের দাম প্রায় একশ টাকার কাছে চলে এসেছে। বেগুনের এমন দামে অবাক অনেক খুচরা ব্যবসায়ীও। ফলে অনেক ব্যবসায়ী পাইকারদের কাছ থেকে বেগুন না কিনেই ফিরে এসেছেন। এতে কোনো কোনো বাজারে বেগুনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গতকাল মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, দৌলতপুর ও ঘিওর অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সকাল থেকে রাত অবধি ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে থাকে সাটুরিয়া বাজার। এখানে কাঁচা সবজি বিক্রি করেন শতাধিক ব্যবসায়ী। আর বেগুন বিক্রি করেন কমপক্ষে ৩০ জন। বাজারটিতে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ব্যবসায়ীর কাছেই বেগুন নেই। যারা বেগুনের ব্যবসা করেন তাদের সকলে আমদানি করা বেগুন বিক্রি করছেন। প্রতিকেজি আমদানি করা বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। এই বাজারের বেগুন ব্যবসায়ী মো. রুবেল বলেন, ভাই, দেশি বেগুনের বাজারে আগুন লেগেছে। গত সপ্তাহে পাইকারি বাজার থেকে যে বেগুন ৪৫ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম, সেই বেগুন এখন চাচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। এই দামে বেগুন কিনে কিছুতেই ৮৫ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব না। তাই বেগুন না এনে শুধু ভারতীয় পেঁয়াজ এনেছি। বাজারটি থেকে বেরিয়ে উপজেলার দরগ্রাম বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এই বাজারটিতেও দেশি বেগুন বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। এদের একজন মো. কামাল বলেন, বেগুন কেনার অবস্থায় নেই। দাম হু হু করে বাড়ছে। পাইকারি বাজারে বেগুন যে দাম, ওই দামে বেগুন কিনে ৯০ টাকা কেজি দরের নিচে বিক্রি করা সম্ভব না। এ জন্য দেশি বেগুন আনিনি। এরপর গোপালপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটিতে বেশ কয়েকজন বেগুন বিক্রি করছেন। এদের একজন মো. আবুল বাশার বলেন, এক কেজি বেগুন দাম ৯০ টাকা। বেগুনের এতো দাম কেন জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, ভাই সামনে দাম আরও বাড়তে পারে। হিসাব করে দেখেন গত সপ্তাহের তুলানায় প্রতিকেজি বেগুনের দাম বেড়েছে ৩০ টাকার ওপরে। গত সপ্তাহে আমরা ৪৫ টাকা কেজি দরেও বেগুন বিক্রি করেছি। এখন একশ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কৃষিবিদ শিকদার শামীম আল মামুনের সাথে। তিনি বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে প্রতি বছর রমজান মাস এলেই কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থার দাবিও জানান তিনি।