বাঘারপাড়া( যশোর) প্রতিনিধিঃ বাঘারপাড়া ব্লাড ব্যাংক ফেইজবুক পেজে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ছেলেটি বাংলাদেশে ফুফু বাড়ি বেড়াতে আসে, সেখান থেকে চলতি বছরের রোজার ঈদের দিনে ঘুরতে বের হয় সেই বের হওয়ার পর সে আর বাড়ি ফিরে যেতে পারেনি। বাক প্রতিবন্ধি হওয়ায় তার পুরো ঠিকানাটা বলতে পারেনা। এভাবেই পার হয়ে গেছে চার মাস। গত কয়েকদিন আগে এলাকার লোকজন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ধলগারাস্তার মোড়ে পেয়ে পুলিশের নিকট সোপর্দ করে এবং গত ৫ দিন বাঘারপাড়া থানার হেফাজতে থাকে। ছেলেটির নাম জুয়েল, বয়স ১২ বছর, ছেলেটি বাক প্রতিবন্ধী। স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম: কালোপুর প্রো: অফিস : দত্তপুলিয়া থানা: ধানতলা, জেলা: নদীয়া, রাজ্য: পশ্চিমবঙ্গ দেশ: ভারত। ছেলেটির ফুফু, বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ৬নং নেপা ইউপির মাইলবাড়ীয়া গ্রামে। বাঘারপাড়া ব্লাড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ হাসিবুল ইসলাম বলেন,বাঘারপাড়া ব্লাড ব্যাংকের এডমিন প্যানেলের কাছে আসলে আমরা বাঘারপাড়া ব্লাড ব্যাংকের পেজ থেকে ছেলেটির পরিবারের সন্ধান চেয়ে পোস্ট করি। বাঘারপাড়া ব্লাড ব্যাংকের পোস্টটা কয়েকশত শেয়ার হয় এবং প্রায় ৫০ হাজার ভিউ হয়। সেই পোস্টের মাধ্যমে আজ ২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে ছেলেটির সৌদি আরব প্রবাসী চাচা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। এবং ছেলেটি তার ভাতিজা বলে দাবি করেন তারপর ছেলেটির বেশ কয়েকটি পারিবারিক ছবি দেন। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তাৎক্ষণিকভাবে বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সৈয়দ আল মামুন স্যারের সরকারি নাম্বারে যোগাযোগ করি ওসি স্যার আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে ছেলেটি উনার হেফাজতে আছে, তিনি ছেলেটির অবিভাবকদের আসতে বলেন। আমরা তাদেরকে বিষয়টি জানালে তারা তাৎক্ষণিকভাবে বাঘারপাড়া থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সন্ধ্যার দিকে বাঘারপাড়ায় এসে পৌঁছান। সন্ধ্যায় বাঘারপাড়া ব্লাড ব্যাংকের সদস্যরা জুয়েলের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে বাঘারপাড়া থানায় যান এবং ওসি সাহেবের সাথে আলোচনা করে ছেলেটির পরিচয় নিশ্চিত করেন। ওসি সাহেব বাক প্রতিবন্ধি জুয়েলকে তাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। জুৃয়েলকে তাদের পরিবারের নিকট সোপর্দ করার সময় বাঘারপাড়া ব্লাড ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শেখ আশিক,নাফিজ হোসেন,রিয়াদ খান। এসময় বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাঘারপাড়া ব্লাড ব্যাংকের খুবই প্রশংসা করেন এবং বাঘারপাড়া ব্লাড ব্যাংকের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।