বাঘারপাড়া( যশোর) প্রতিনিধিঃ করোনা সংক্রমণ এড়াতে দীর্ঘ লকডাউনের ধাক্কা সামলে এবার দুয়ারে কড়া নাড়ছে শারদীয় দূর্গোৎসব। ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহাষষ্টীর মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা। সবখানে সাজ সাজ রব। বৃহৎ এই উৎসবকে সামনে রেখে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার মন্ডপে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। বিভিন্ন বড় পুজা কমিটি জানাচ্ছে, সাবধানতার বিধি-নিষেধ মেনেই এবছরও পুজা হবে। গত এক মাস আগে থেকে শুরু হওয়া দেবী দূর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে এখন চলছে রং তুলির কাজ। শেষ সময়ে দিন-রাত কাজ করে লাল, নীল, গোলাপী, হলুদসহ বিভিন্ন রং দিয়ে দেবী দূর্গা ও অন্যান্য প্রতিমার রুপকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। এ বছর বাঘারপাড়ায় ৮১ টি মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় ৯২টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। করোনার কারণে এবার ৮১ টি মণ্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে পৌর এলাকায় ৪টি, জহুরপুর ইউনিয়নে ৬টি, বন্দবিলা ইউনিয়নে ৫টি, রায়পুর ইউনিয়নে ৭টি, নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নে ১৩টি, ধলগ্রাম ইউনিয়নে ১৪টি, দোহাকুলা ইউনিয়নে ৫টি, দরাজহাট ইউনিয়নে ১১টি, বাসুয়াড়ি ইউনিয়নে ৯টি এবং জামদিয়া ইউনিয়নের ৭টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ উৎসবকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে মন্ডপগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শেষ মুহুর্তে চলছে প্রতিমার রং তুলি ও মন্ডপের কাঠামো তৈরীর কাজ। আর এই কাজকে ঘিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। এদিকে বাঘারপাড়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আল মামুন জানিয়েছে , হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উৎযাপন করতে পারেন সেজন্য বাঘারপাড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি নিজে উপজেলার সব পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। সব ধরনের বিশৃঙ্খলা, অপ্রীতিকর ও নাশকতামূলক ঘটনা এড়াতে মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাদের ইউনিয়নের সকল পূজা মণ্ডপগুলো প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিচ্ছেন।’ পুলিশের পাশাপাশি আনসারদেরও নিয়োজিত করা হবে। পাশাপাশি মোবাইল টিমও থাকবে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ বলেন, ‘বরাবরের মতই এবারও শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গোৎসব পালনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।’