ফেনী জেলা প্রতিনিধি: ফেনীর মহীপাল থেকে রাজাপুর হয়ে দরবেশের হাট পর্যন্ত মিনিবাস ও ইমা সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছে কলেজগামী ছাত্র ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষ। বিগত কিছুদিন যাবত তা ফেইসবুকে ভাইরাল হলেও এতে কর্তৃপক্ষের কোনো টনক নড়েনি! সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন যাবত এসড়কে বিকল্প কোনো যানবাহন না থাকায় সিএনজি অটোরিকশার চালকদের কাছে ছাত্র ছাত্রী সহ সাধারণ মানুষ জিম্মি রয়েছে ! তারা বিভিন্ন সময় নানান অজুহাত দেখিয়ে ইচ্ছে মত ভাড়া আদায় করে। বারো কিলোমিটারে তারা চল্লিশ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে! রাত হলে তা আরো বেড়ে গিয়ে জনপ্রতি একশোতে গিয়ে ঠেকে বলে সাবেক ছাত্র নেতা এমদাদ, কাবুল, আখতার মির্জা সহ আরো অনেকে অভিযোগ করে। সূত্র আরো জানায়, এ ব্যস্ততম সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো গাড়ী চলাচল করে। একে বিকল্প বিশ্বরোডও বলা হয়। অথচ তা কেবলই কাগজে কলমে বাস্তবে তার ছিটেফোঁটাও নেই! ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের পাশাপাশি কাশেমপুর থেকে বিরলী পর্যন্ত সড়কটির খুবই বেহাল দশা হলেও তা দেখার কেউ নেই! সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে চালকরা! যার ফলে মানুষের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করেন, তথ্যমন্ত্রী ড,হাসান মাহমুদ যে বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন উইপোকা খাচ্ছে তার প্রমাণ এই সড়কটি! সরকারের টাকা নষ্ট করে প্রতিবারই দায়সারা কাজ করা হয়! নিম্নমানের কাজের কারণে বছর না যেতেই সংস্কার কাজ ভেস্তে গিয়ে সড়কে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল মারাত্নকভাবে ব্যাহত হয়। ফলে একদিকে নষ্ট হচ্ছে সরকারের অর্থ অন্যদিকে বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি! তাদের দাবি, সময় এসেছে এই সড়কে বাস ও ইমো সার্ভিসের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোকে অপসারণ করে সড়ক আরো প্রশস্ত করতে স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসন ও সড়ক জনপদ বিভাগের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করেন তারা। পাশাপাশি নিম্নমানের কাজ প্রতিরোধে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে দিয়ে কাজ করা যেতে পারে বলেও মত দেন তারা।