নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেনীতে দলের সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে দেহ ব্যাবসা করেছে মোর্শেদা আক্তার মিয়াজী নামের এক মহিলা।এতে প্রতিবাদ করায় হয়রানির স্বীকার হয় বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসী। ফেনীর পশ্চিম উকিল পাড়ায় ভাড়া বাসা নিয়ে ৭/৮ জন সুন্দরীকে দিয়ে নিজের দেহ ব্যবসা গড়ে তুলে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মহদিয়া গ্রামের মোর্শেদা আক্তার মিয়াজী। নিজেকে ফেনী জেলা মহিলা শ্রমীক লীগের সভাপতি দাবি করে থানা-পুলিশ-স্থানীয় লোকজনকে বোকা বানিয়ে দীর্ঘ ২ বছর যাবত দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এই মক্ষিরানী। মোর্শেদার অতিরিক্ত যৌন চাহিদা পূরন করতে না পারায় স্বামীকে তালাক দিয়ে ফেনী শহরে দেহ ব্যবসা শুরু করে এবং নিজের যৌন চাহিদা মেটায় এই নারী।বাসায় একাধিক সুন্দরী তরুনীর আসাযাওয়া দেখে গত কয়েকদিন আগে বাসার মালিক ও এলাকাবাসীর দৃষ্টিগোছর হয়।বাড়ির মালিক সফিকুর রহমান অপেল এসব দেখে মোর্শেদাকে বাসা ছেড়ে দিতে বললে মোর্শেদা নিজেকে জেলা মহিলা শ্রমীক লীগের সভাপতি বলে বাড়ির মালিককে হুমকি দেন,তখন বাড়ির মালিক স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন রাজন কে বিষয়টি অবিহিত করেন এবং রাজন মোর্শেদাকে এসব অপকর্ম ও দেহব্যবসা এই পাড়াতে করা যাবেনা ও বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। স্থানীয় যুবকরা ও এলাকার সচেতন সমাজ মোর্শেদার দেহব্যবসায় দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে তাই সকলে মিলে মক্ষিরানী পতিতা সর্দার মোর্শেদাকে উকিলপাড়া এলাকা ছাড়তে বলে। কিন্তু মোর্শেদা উল্টো তাদের কে ফাঁসানোর জন্য ফেনী মডেল থানায় একটি মিথ্যা জিডি করে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করছে। স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী ইশরাফিল-ফ্যামেলী ষ্টোর,প্রতিবেশী ষ্টোর দোকানদার আবুল কালাম জানান, মোর্শেদার বাসায় প্রতিদিন নতুন নতুন সুন্দরী তরুনী ও অনেক যুবক আসে।এই বিষয়ে মোর্শেদার কাছে জানতে চাইলে মোর্শেদা বলেন তারা নেতাকর্মী,বাস্তব ক্ষেত্রে সে একটা পতিতা সর্দার। বাড়ির নিচের ডাক্তার বলাই শর্মা জানান মোর্শেদা প্রতি ৪/৫ দিন পর পর ১ বক্স কনডম কিনেন।পশ্চিম উকিলপাডাস্থ ফেনী ভাইটাল ইউনিট-১ এর ডাক্তার শরীফ জানান গত ২ বছরে মোর্শেদা প্রায় ১১ জন মেয়ের গর্ভপাত করিয়েছেন।এসব অনৈতিক কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে নিজেকে বড় নেতা বলে হুমকি প্রধান করেন।মোর্শেদা যেই প্ল্যাটে থাকে তার পাশের প্ল্যাটের বাসিন্দা সবুজ জানান মোর্শেদার এই অনৈতিক কাজের জন্য বাসায় পরিবার নিতে থাকা দাঁয় হয়ে গেছে,বাসায় ক্লাস নাইন পডুয়া আমার একটি মেয়ে রয়েছে এসব অনৈতিক কাজ দেখে আমাদের কেমন লাগে একবার চিন্তা করুন। মোর্শেদা কে এই বাসাটি ছাড়ার জন্য মালিকের কাছে অনেকবার অভিযোগ করেছি যদি এইমাসে না ছাড়ে আমরা বাসা ছেড়ে দেবো। বাসার সামনে চাইল হেভেন সকুল ছোট বাচচারা কি দেখে শিখবে এখন এই প্রশ্ন সবার। নরসিংদীর পাপিয়ার চেয়ে ভয়ংকর ফেনীর মোর্শেদা।মোর্শেদার সাথে ফেনীর সাবেক গডফাদার জয়নাল হাজারির ঘনিষ্টতা রয়েছে বলে জানাগেছে,এবং মোর্শেদাও পাপিয়ার মতো কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে ছবি তুলে সেই ছবি মানুষকে দেখিয়ে হুমকি দেয়। এছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায় মোর্শেদার বড় ভাই মিলন সোনাগাজীর একজন তালিকাভুক্ত ডাকাত সর্দার,তার নামে একাধিক গ্রেপ্তারী পরওয়ানা রয়েছে।মিলন সোনাগাজীর সকল ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে,মোর্শেদার ভাই মিলনসহ একই প্ল্যাটে থাকে এবং ভাইবোন মিলে এই দেহ ব্যবসা চালায়। এমতবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা ও বাড়ির মালিক মোর্শেদার এই দেহব্যবসা বন্ধ চায় ও সে যেন উকিলপাড়া এলাকা ছেড়ে চলে যায় সেই অনুরোধ জানিয়েছেন।