তপু রায়হান রাব্বি, ফুলপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভার নির্বাচনে ২৭ জানুয়রি রোজ বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসময় সিনিয় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মোঃ সাওয়ার জাহান, ফুলপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার , সহকারী কমিশনার ভূমি ফাতেমা-তুজ-জোহরা, ফুলপুর নির্বাচন অফিসার সৈয়দা আশুরা আক্তার খাতুন, হালুয়াঘাট নির্বাচন অফিসার জন কেনেথ রিচিল, ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী, সেকেন্ড অফিসার এস.আই. মাহবুবুল আলম, তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সংবাদকর্মী তপু রায়হান রাব্বি সহ স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক, পৌরসভার প্রার্থীগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শশধর সেন বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল হক,এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোঃ শাহজাহান জগ প্রতীক ও রকিবুল হাসান সোহেল নারিকেল গাছ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।
পরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর এবং সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের কে প্রতীক দেয়া হয়।
দুপুর ১টায় প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী আচরনবিধি ও আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পড়ে প্রার্থী এরা মনের ভাব প্রকাশ করে বলেন আপনারা কি একজনের পক্ষে থাকবেন নাকি সবার পক্ষে থেকে কাজ করবেন। আরো বলেন, ভোটাররা কি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভিতরে গিয়ে ভোট দিতে পারবে নাকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্যাঞ্জামের সৃষ্টি করবে এবং কি ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সময় যদি সবুজ বোতামে ক্লিক করে কনফার্ম না করে এবং অন্যরা গিয়ে তা কনফার্ম করে দেই তাদের নিজ মত ভোটে ক্লিক করে তাহলে কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অথবা ফরমেটিং অফিসাররা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করবেন না। নাকি অর্থের লোভে তারা অবৈধভাবে জড়িত থাকবে।
এছাড়াও আরও বলেন যারা বৃদ্ধ বয়স্ক ঠিকমতন এই কিবোর্ডে চাপ দিতে পারেন না তাদেরকে আমরা কি ভোট দিয়ে দিতে পারবো নাকি সেটিংস অফিসার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বললে তারা ক্লিক করে দেবেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন অভিযোগ মূলক কথা তোলেন প্রার্থীগণ রাখে সময়।
পরে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হবে এ নির্বাচন কোন প্রকার গাফিলতি বা দুর্নীতি হবে না। যদি হয় আপনারা অভিযোগ করবেন তাৎক্ষণিক সঠিক তদন্ত করে প্রশাসন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে আমরা তার ব্যবস্থা নেব এবং ১৩ ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনীয় সকল প্রচারণা বন্ধ রাখতে হবে।
সভায় পরে আরো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান ও নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলা বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে প্রার্থীদের নির্দেশনা দেন। প্রতীক পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটের প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। আগামী ১৪ ই ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।