তপু , ফুলপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি: লবণের দাম বেড়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ছে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা সহ সারাদরশে। খোলা লবণের দাম প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা প্রতি বস্তা১২০০- ১৪৫০টাকা হয়ে গেছে, এমন গুজব ছড়াচ্ছে একটি অসাধু চক্র। এটি একটি গুজব বলে জানিয়েছেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম ও ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী। জানা যায় ফুলপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে লবণের মূল্যবৃদ্ধির গুজব ছড়িয়ে পড়লে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়কারী খুচরা ও পাইকারি বাজারে ভিড় বেড়ে যায়। এমন সুযোগে কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী কয়েক গুণ বেশি দামে লবণ বিক্রি শুরু করেন। সদর বাজারের ব্যবসায়ীকরা খোলা লবণের প্রতি বস্তা১২০০- ১৪৫০ টাকা, পূবালী লবণের বস্তা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে খোলা লবণের প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা, প্যাকেট ৪০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রির ঘটনাও ঘটে। পরে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আজ ১৯ নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার ফুলপুর থানার ওসির নেতৃত্বে থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান সুমন ফোর্স নিয়ে ফুলপুরের বিভিন্ন বাজার নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় উনার সাথে ছিলেন তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তপু রায়হান রাব্বি, যুগান্তরের স্থানিয় স্বজন সমাবেশ এর সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাব্বি, স্থানিয় সাংবাদিকসহ ফুলপুর থানার পুলিশ প্রশাসন। অভিযান চলাকালীন সময় থানার সেকেন্ড অফিসার সুমন প্রতিটি দোকানদার ও ক্রেতাদের কে বলেন লবণের দাম বেড়েছে এটি একটি গুজব। গুজবে কেউ কান দেবেন না। আর যেসব ব্যবসায়ীকরা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে তাদেরকে ধরিয়ে দিন। তারপর সেই অভিযান চলাকালীন সময়ে পেঁয়াজের বাজারও নিয়ন্ত্রণে আছে কি না তাও দেখেন এবং প্রতিটা ব্যবসায়ীকে দোকানের চার্ট টানানোর কথা বলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, লবনে দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। লবণের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি সিন্ডিকেট মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। এব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি। তাই গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি। এক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) কক্সবাজারের লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ মৌসুমে বিসিকের চাহিদা ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা ধ’রা হয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ মৌসুমে কক্সবাজার জে’লায় উৎপাদনযোগ্য লবণ জমির পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ৫৯৬ একর। চাষির সংখ্যা ২৯ হাজার ২৮৭ জন। এই মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ লাখ মেট্রিক টন। বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। যা বিগত ৫৮ বছরের লবণ উৎপাদনের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।