সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কয়েকজন অসাধু ইউপি সদস্য এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী মমতাজ বেগম সম্মিলিত হয়ে অসহায় প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকায় ভাগ বসিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক বছরের জন্য প্রতিবন্ধীরা ৯ হাজার টাকা ভাতা পেলেও অথচ এই প্রতিবন্ধী কার্ড করার জন্য উক্ত মাঠকর্মী মমতাজ বেগম এবং ইউপি সদস্যরা সম্মিলিতভাবে তাদের কাছ থেকে ৯ থেকে ১০ হাজার হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে কাচারীকান্দি গ্রামের মিজান মিয়া এবং ঝরনা বেগমের অসহায় প্রতিবন্ধী মেয়ে ফারজানা সাদিয়া সংবাদ কর্মী রুদ্রকে জানান, বাবুল মেম্বার প্রতিবন্ধী কার্ড করার কথা বলে আমার কাছ থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা নিয়েছে। তারা আরো অনেক প্রতিবন্ধী, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও মাতৃত্ব ভাতার কথা বলে সাধারণ অসহায় মানুষদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষাধিক টাকা। এদিকে একই গ্রামের প্রতিবন্ধী মমতাজ জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মমতাজ বেগম দীর্ঘ দিন যাবৎ আমার বাড়ীতে এসে একাধিক মানুষের কাছ থেকে কার্ড করার কথা বলে ৭ হাজার টাকা নিচ্ছেন তিনি। যেহেুত তিনি সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তাই আমরা সাধারণ জনগন বিশ্বাস করে তাকে টাকা দিচ্ছি। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মী রুদ্র সমাজসেবা কর্মকর্তা মমতাজ বেগমের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন যেহেতু আমি সরকারী কর্মকর্তা একটু ভালমন্দ থাকতেই পারে। যেহেতু কিছু টাকা আমি নিয়েছি সেহেতু আমার মান রক্ষার্থে আপনি এ বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রাখুন। মমতাজ বেগম আরো বলেন, আমার প্রতিনিধিরা সময়মত আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনাকে যথেষ্ট সম্মান করবে। এই কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে আরো অনেক চা ল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে জানতে হলে পরবর্তী সংখ্যা চোখ রাখুন। এ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন সংবাদকর্মীর কাছে চা ল্যকর তথ্য দেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে এবং সমাজসেবা কর্মকর্তাকে মোবাইল করে ডেকে আনে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন ও আগামীকাল ইউপি সদস্যদের রায়পুরা উপজেলার নির্বাহ অফিস কার্যালয়ে স্ব-শরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে রায়পুরা উপজেলার সমাজসেবা অফিসের প্রধান কর্মকর্তা সংবাদ কর্মী রুদ্রকে জানান, এ বিষয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।