স্পোর্টস ডেস্কঃ করাচি টেস্টের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর অন্যতম ফাওয়াদ আলমের অনবদ্য সেঞ্চুরি। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন ফাওয়াদ। পরে টেলএন্ডারদের চমৎকার ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থামে ৩৭৮ রানে। লিড পায় ১৫৮ রানের।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে সেই লিডকে অতিক্রম করতে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃহস্পতিবার দিনশেষে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৮৭ রান জমা করে সফরকারী দল। শুক্রবার দিনের শুরুতে ২৯ রানের লিড নিয়ে ব্যাট হাতে নামেন কুইন্টন ডি কক ও কেশভ মহারাজ।
দেখার বিষয় ছিল এটিই– বাকি ৬ উইকেটে লিড কতদূর বাড়িয়ে নিতে পারেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। তবে প্রোটিয়াদের লিড বেশি বড় করতে দেননি পাক স্পিনাররা।
নুমান আলী ও ইয়াসির শাহের ঘূর্ণি বলে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রানে থেমে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অর্থাৎ জয় পেতে পাকিস্তানকে মাত্র ৮৮ রান করতে হবে।
দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান এসেছে ওপেনার এইডেন মার্করামের ব্যাট থেকে। নুমান আলীর শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২২৪ বলে ৭৪ রান করেন তিনি।
ওয়ান ডাউনের নামা রসি ভ্যান ডার ডুসেন করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান। তাকে ফিরিয়েছেন ইয়াসির শাহ।
এর পর মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান তেম্বা বাভুমা ছাড়া আর কেউ পাক বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। নুমান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তেম্বার করেছেন ৪০ রান।
বাকি সবার স্কোর অনেকটা টেলিফোন ইন্ডেস্কের মতো। পাক বোলারদের তোপের মুখে তারা শুধু আসছেন আর গেছেন।
ফলে বড় লিড নিতে পারেনি ডি ককের দল। ব্যাট হাতে ডি ককও ছিলেন ব্যর্থ। দিনের শুরুতেই ইয়াসির শাহের গুগলিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ডি কক।
আজ পাক বোলারদের পক্ষে সবচেয়ে বেশি সফল সিন্ধুপ্রদেশের বাঁহাতি অর্থডক্স বোলার নুমান আলী। ৩৪ বছর বয়সী এ স্পিনার ২৫.৩ বল করে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। কম যাননি ইয়াসির শাহও। ৩৩ ওভার বল করে ৭৯ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। অর্থাৎ প্রোটিয়াদের ৯ উইকেটই হাতিয়ে নিলেন এ দুই স্পিনার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে নেমেছে পাকিস্তান। ব্যাট করছেন দুই ওপেনার ইমরান বাট ও আবিদ আলী।