মোঃ ইউসুফ খাঁন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ ১৯৭১সালে ২৪ই জুন (বাংলা ১৩৭৮ খ্রীঃ ১০আষাঢ় (বুধবার) নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়া গ্রামে ঘটেছিল নির্মম নারকীয় হত্যাযঞ্চ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীনতা বিরোধী স্থানীয় রাজাকার, আলবদরদের সহযোগিতায় পাক হানাদার বাহিনীর বন্দুকের গুলিতে নির্মমভাবে শহীদ হন দুগ্ধজাত শিশুসহ ৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী।
স্বজন হারানোর বেদনায় এখনোও ভারি সেখানকার আকাশ-বাতাস। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০বছরেও ওই গ্রামের ন্যাতরার বাজার নামক স্থানের বধ্যভ্থমি সংরক্ষণ করা হয়নি। ফলে বধ্যভ্থমি জন্য নির্ধারিত স্থান অরক্ষিত, অযত্ন-অবহেলায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল অবস্থায় কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে নেই কোন নাম ফলক, গড়ে ওঠেনি কোন স্মৃতিরস্তম্ভ।
অনেকেই জানেনা না এই বধ্যভ্থমির কথা। শহীদদের গণকবরগুলো সংরক্ষণে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। নতুন প্রজন্মরা জানতে পারছে না সে জায়গা গুলেতে শুয়ে রয়েছেন মুক্তিকামী বীর বাঙালিরা।
প্রবীণরাও ভ্থলতে বসেছেন তাদের। বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাতের আধারে দুগ্ধজাত শিশুসহ ৯জন স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে একত্রিত করে সারিবদ্ধ ভাবে পাখির মত হত্যা করে। বধ্যভ্থমি সংরক্ষণের অভাবে স্বাধীনতার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ওই স্থানগুলো বর্তমান চেনার কোন উপায় নেই।
সরকারি উদ্যোগে বধ্যভ্থমি সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করা হলেও আজও শহীদদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়নি স্মৃতিরস্তম্ভ। এবাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম জানান, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক উপসচিব মহোদয় ওই বধ্যভ্থমির নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করে যাবতীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করেছেন।
সরকারী ভাবে জমি অধিগ্রহনের নির্দেশ পেলে বধ্যভ্থমি ও গণ কবর গুলো সংস্কার করা হবে।