সাইফুল ইসলাম রৌদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ নরসিংদী বেলাব উপজেলা আমলাব ইউনিয়নে আমলাব শাহপাড়া এলাকার মোঃ সাদেক, পিতা- দিল মোহাম্মদ এর সাথে ৫ লক্ষ টাকা কাবিনের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন শাহিনুর আক্তার।
দীর্ঘদিন যাবৎ সামাজিকভাবে বসবাস করলে তাদের ২টি সন্তান জন্মগ্রহণ করেন, সালমান (৪) ও তাহমির (৬ মাস)। তার স্বামী মোঃ সাদেক তার স্ত্রীকে বলেন যে, ব্যবসার জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন। তৎপর তার স্ত্রী তার বাপের বাড়ী হইতে ১২ লক্ষ টাকা এনে তার স্বামীকে ব্যবসা দিতে বলেন। তার স্বামী ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে সে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে যায় বেলাব বাজারে। আবারও সে তার স্ত্রীকে বাপের বাড়ী হইতে টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু সে টাকা আনতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এলাকার সূত্রে জানা যায়, সাদেক তার ভাই ইব্রাহিম মোল্লার পরামর্শে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরামর্শ দেয় এবং তার চেয়ে ভালো মেয়ে দেখে বিবাহ করাইবে বলে প্রস্তাব দেন। এদিকে দীর্ঘ ৩ মাস যাবৎ পারিবারিক সূত্রে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ২টি সন্তানকে না দেখতে পেরে স্ত্রী সুইসাইড করতে চেষ্টা চালায় হয়। তার স্ত্রীকে এ রকমন মানসিকতা দেখে তাকে পাগল বলে আখ্যা দেন। স্বামী সাদেক তার স্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হাতে চুরি দিয়ে রগ কেটে দেয়। এক পর্যায়ে শাহিনুর বেগমকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার জন্য চেষ্টা চালায় এলাকার লোকজন। এদিকে শাহিনুর আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার মা ও আমাকে বেলাব উপজেলায় আটকে রেখে একটি কাজীর মাধ্যমে জোরপূর্বক ডিভোর্সনামায় স্বাক্ষর নিয়ে যায় আমার স্বামী ও স্বামীর ভাই। কাবিন নামায় ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর থাকলে তাকে টাকা না দিয়ে তাদেরকে এলোপাথারিভাবে মারধর করে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়। কিন্তু শাহিনুর আক্তার সন্তানকে পেতে স্বামী সাদেকের বাড়ীতে গেলে সাদেক বলে যে, তকে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর এর টাকা দিয়ে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছি তুই কেন আমর বাড়ীতে আসছিস। তর সন্তানকে পেতে হলে আদালতে মামলা করে নিতে হবে। না হলে আমি সন্তান দিবো না। এদিকে শাহিনুর আক্তার এর মা অভিযোগ করে বলেন, দুলাল মেম্বার নামে এক ব্যক্তি আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আমার মেয়েকে স্বামীর সাথে মেলানোর কথা বলে কিন্তু সে কোন কাজ করে নাই। শাহিনুরের মা বলেন আমি দুলাল মেম্বার এর কাছ থেকে শুনিছে কাবিন নামার ৫ লক্ষ টাকা আমলাব ইউয়িনের চেয়ারম্যান পরষ মোল্লাসহ দরবারে উপস্থিতিরা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ার করে নিয়ে যায়। শাহিনুর আক্তার উক্ত বিষয়টি শুনে এলাকার লোকজনের নিকট জানতে চাইলে তাকে অপমান করে বের করে দেয় এবং বলে যে, আমরা খেয়েছি তুই যা করবি কর। এদিকে শাহিনুর আক্তার এর মাতা আছমা বেগম রৌদ্রকে বলেন, আমার মেয়ে ও আমাকে আটকে রেখে ডিভোর্সনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন কিন্তু আমরা কোন উপায় না পেয়ে প্রাণ রক্ষার্তে ডিভোর্সনামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছি। কাবিন এর টাকা দরবারীরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে যায় ও আমাকে ১ লক্ষ টাকা সাদে। আমি এই টাকা নিতে আপত্তি জানালে ভবিষ্যতে বেলাব না আসার জন্য বলেন যদি আসি তবে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে। এদিকে সংবাদকর্মী রৌদ্র আমলাব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহিলা আমার বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার চালাচ্ছে যা সামাজিকভাবে আমরা সমাধান করেছিলাম। এলাকার দুলাল মেম্বার সংবাদকর্মী রৌদ্রর কাছে চায়ের দোকানে বসে স্বীকার করে বলেন এ সমস্ত টাকা দরবারীরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে আমিও ৮ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো পেয়েছি। তারপর ও আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম শাহিনুরের ২টি সন্তান আছে তাই এ সংসারটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমি বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিলেম তার স্বামী সাদেক এর কাছে।