তপু রায়হান রাব্বি, ফুলপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ ১০-১৫ দিন ধরে ঠিক মত পকেটমারতে পারছি না বলে স্বীকারোক্তি দিলেন তারাকান্দা উপজেলার মধুপুর গ্রামের সমেদ মেস্ত্রী এর ছেলে চুর সাইফুল ইসলাম (৬০) নামের এ ব্যাক্তি।
ফুলপুর পৌরসভার আমুয়াকান্দা বাজারে আজ ৩১ জানুয়রি রোজ রবিবার বিকেলে মজাহিদুল বস্ত্রালয়ের প্রোঃ মোঃ মজাহিদুল এর শ্বশুরের পকেট কাটার সময় সে ধরা পড়ে জনতার হাতে।
তখন মাইড় দূর করার জন্য জনতা উঠছে পরে লাগে। পরে সচেতন নাগরিকরা তাকে ওখান থেকে উদ্ধার করে ১শ গজ দূরে নিয়ে বিচার করেন। বিচারে বলা হয় তুই কি চুরি ছাড়বি, নাকি তোকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবো। পড়েছে বলে আমি আর জীবনেও চুরি করবো না এখন থেকে ভিক্ষা করে খাব।
পরে সে যে ২ হাজার টাকা পকেটমেরে নিয়েছিল সে ২ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়।
যেন সে একটি কর্ম করে খেতে পারে। আরও হুঁশিয়ারি দেয়া হয় যদি কোনদিন পকেট মারার ধান্দায় তাকে পাওয়া যায় তাহলে সরাসরি থানায় দেওয়া হবে এ সময় বিচারে উপস্থিত ছিলেন তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ( ব্যবসায়ীক) তপু রায়হান রাব্বি, ব্যবসায়ী খাইরুল , আসাদ, মশিউর, মুজাহিদুল সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কিন্তু তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পরপরই তারাকান্দা বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি নূরুজ্জামান সরকার বকুল জানান, পকেটমারা ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা তার। আমি ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি পকেট মারা তার পেশা। একাই কাম করে আবার বেশি না ১শ থেকে ২শ হলেই চলে।
তিনি আরো বলেন, অন্য পেশায় কাজ দিলেও তা করতে পারে না? তার নাকি মন বসে না। আসুন সবাই মিলে ওকে পকেট মারা থেকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনি।