ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: বাংলাদেশে লবনের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন গুজবে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে বেলা ১১ থেকে লবন কেনার ধুম পরেছিলো। আর এই সুযোগে হঠাৎ করেই এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বেশী দামে লবন বিক্রি করতে শুরু করে দেয়। পাড়া,মহল্লা সহ বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধ মিলে বাজার গুলোর অধিকাংশ দোকানে লবন কেনার জন্য ভিড় জমাতে থাকে। এমন খবরে বাজার নিয়ন্ত্রনে নেমেছিলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: নাজমুন নাহার মুন। গত মঙ্গলবার (১৯-নভেম্বর) বিকেলে বিভিন্ন হাট-বাজারে মনিটরিং এ নামে উপজেলা প্রশাসন টিম। এসময় উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া এলাকার হামিদুল ইসলাম, বাবুরহাট বাজারের শফিকুল ইসলাম, গয়াবাড়িবাড়ী ইউনিয়নের শুটিবাড়ি বাজারের রতন পাল, খালিশা চাপানী বাজারের নুর-আমিন, তহিদুল ইসলাম ও ঝুনাগাছ চাপানী বাজারের মুদি দোকান ব্যবসায়ী বিকাশ চন্দ্র রায়ের দোকানে মূল্য তালিকা ছাড়াই অধিক মূল্যে লবন বিক্রির দায়ে ভোক্তা অধিকার আইনে বিভিন্ন পরিমানে মোট ৩৪ হাজার টাকা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমান করা হয় পাশাপশি অধিক মূল্যে লবন বিক্রয় না করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার মুন। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুর-ই আলম সিদ্দিকী, উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ওয়াহেদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার সেকেন্দার আলী, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ, পেশকার রোকনুজ্জামান রোকনকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগণকে সর্তক করে বলেন, লবনের কোন ঘার্তি নেই এটা একটি সম্পন্ন রুপে গুজব। আপনারা তাতে কোন কর্নপাত করবেন না। তিনি আলো বলেন, যদি কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্য ছাড়া লবনের অধিক দাম নিয়ে বিক্রি করেন এবং লবন ঘার্তির গুজব ছড়ায় আমরা তা প্রতিরোধে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।