ঢাকা প্রতিনিধি: অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও তার ভর্তিতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। গৃহকর্মী মায়ের এ মেধাবী সন্তানের ভর্তির জন্য এখনও টাকা জোগাড় হয়নি। শুধু ভর্তি নয়, কিভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করাবে তার পরিবার এটা নিয়েও চিন্তিত।গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের সেকেন্দার আলীর পুত্র সাইফুল ইসলাম।সাইফুল ইসলাম বাবার তত্ত্বাবধানে তার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়েছে।তার বাবা সেকেন্দারের ইচ্ছা ছিল ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবে।তবে ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌছার আগেই গত মে মাসে দুনিয়া ছেড়ে চলে যান তিনি। তবে বাবা মারা গেলেও বাবার ইচ্ছায় ছেলে দেশের শ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অবর্তমানে সাইফুল আজ দিশেহারা।সাইফুলের মা চিনিমন বেগম অন্যের গৃহে কাজ করে সাইফুলের ছোট এক ভাই ও এক বোনদের মুখের আহার যোগান।অসহায় মায়ের সামান্য উপার্জনে সাইফুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো সম্ভব হচ্ছে না। ঢাবিতে চান্স পেয়েও ভর্তির অনিশ্চয়তার বিষয়ে সাইফুল জানান, মায়ের পক্ষে ভর্তির জন্য এতগুলো টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। নিজে টিউশনি আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় যা জুগিয়েছিলাম, তা তো ভর্তি পরীক্ষার ফরম আর ঢাকা আসা-যাওয়ার খরচ মেটাতেই শেষ। তিনি বলেন, খুশি হয়েছিলাম চান্স পেয়ে। কিন্তু ভর্তি বা টাকার চিন্তায় সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায় আমার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার স্বপ্ন মনে হয় আমার পূরণ হবে না। ২০১৬ সালে বিরাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি তে জিপিএ ৫ পেয়েছিলাম। পরে শহরগছী আদর্শ ডিগ্রি কলেজ থেকে গোল্ডেন A+ পাওয়ার পর বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন সবাই উৎসাহ দেয় ভর্সিটিতে ভর্তির প্রস্তুতি নিতে। পরে সকলের পরামর্শে ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হই আজকে টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছিনা।