গজারিয়া প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ব্রিজ আছে সড়ক নাই। ব্রিজ নির্মানের ৬ বছর পরও শেষ হয়নাই এলাকাবাসীর ভোগান্তি। সবুজ ফকির (৫০), কাইয়ম (৪০) সহ এলাকার কতিপয় নারী পুরুষ জানান ব্রীজের দুই পার্শ্বে কোনো রাস্তা নেই। ব্রীজের দুই পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সলক বয়সের নারী পুরুষ ও কোমল মতি স্কুল শিক্ষার্থীরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া গ্রাম ও জামালপুর গ্রামের সংযোগ সড়কের খালের ওপর ব্রীজ না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে, ৪ গ্রামের মানুষের। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪-১৫ সালে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রায় ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পরও ব্রীজটির সংযোগ সড়ক মেরামত না করায় সেখানে পথচারী এবং যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গুয়াগাছিয়া, জামালপুর,শিমুলিয়াসহ ৪ গ্রামের মানুষের আর কোনো কাজে আসছে না ব্রীজটি। সংযোগ সড়কের সংস্কার না করায় চরাঞ্চলের ৪ গ্রামের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। কৃষক শাহিন জানান, এই রাস্তা দিয়ে ৪ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। ব্রীজের সংযোগ সড়ক সংস্কার করার কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে চরে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। এলাকার ছাত্র নাবিল ও ছাত্রী ফারজানা জানায় ব্রীজের দুই পার্শের রাস্তা ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও কেউ আমাদের চরের মানুষের খবর রাখে না। ফলে আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দীর্ঘদিন ব্রীজটির সংযোগ সড়ক জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন থেকে মেরামত না করায় সাবেক সদ্য প্রয়াত মেম্বার নিজ উদ্যোগে পারাপারের জন্য ব্রীজের সঙ্গে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদী রলেন, গত ৬রছর আগে দুই গ্রামের সংযোগ সড়কে খালের ওপর ব্রীজটি নির্মান করা হয়। তখনকার সময়ে একটা সমস্যা ছিলো ব্রীজটির দুই পাশে সড়কটিকে নিচু ছিলো। তারপরেও ব্রীজটি হয়ে গেছে। কি ভাবে দুই পাশে সংযোগ দেওয়া যায়, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।