মেঘনা (কুমিল্লার) প্রতিনিধি: কুমিল্লার মেঘনায় মাঠ থেকে শাক তুলতে গিয়ে ১২ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত (৬ ফেব্রুয়ারী) শনিবার বিকেলে উপজেলার মানিকারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কিশোরী জানায়, গত শনিবার বিকেলে তার বড় বোনের ৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে জমি থেকে শাক তুলতে যায় সে। পথে মাইনকারচর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে হৃদয় (২১), তার বন্ধু হৃদয় হোসেন (২০) ও একই গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে সম্রাট (১৮) তাদের গতিরোধ করে। সম্রাট তার বোনের মেয়েকে মুখ চেপে ধরে দূরে নিয়ে যায়। আর অন্য দু’জন মিলে তার মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে।
কিশোরীর মা জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর তার মেয়ে বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে ঘটনাটি জানায়। মেয়ের বাবাকেও ঘটনা জানানো হয়। পরে তিনি এলাকার ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য লোকদের জানালে তারা বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে বলেন। পরের দিন ইউপি সদস্য দিপু ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবেন বলে মীমাংসা করতে বলেন। কিন্তু, ভুক্তভোগীর বাবা এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চান।
এদিকে মীমাংসা ও ১০ হাজার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকারচর গ্রামের দিপু মেম্বার বলেন, ‘হৃদয়ের চাচা আনিস আমাকে এমন কথা বলেছে। মেয়েটির পরিবার গরিব, তাই তাদের ১০ হাজার টাকা দেব মিলমিশ করার জন্য। আমি সে কথাই তাদেরকে জানিয়েছি।’
ঘটনার বিষয়ে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, ‘তাদেরকে আমি সন্ধ্যায় থানায় দেখেছি। তবে কোনো অভিযোগ পাইনি।’