ব্যুরো চিফঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গত কয়েক দিনে টানা বষর্ণে উজানের ঢলে ধাইজান,চাঁড়াল কাটা নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক পরিবার। শুধু তাই নয় শনিবার সন্ধ্যায় আকর্ষিক ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুসা শফি মিয়ার পাড়া, চাঁদখানা ইউনিয়নের বোর্ড পাড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। ওই পরিবারগুলোর খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কোথাও কোমর পানি কোথাও হাঁটুপানি। গবাদি পশু, হাঁস মুরগি নিয়ে পানিবন্দি পরিবারগুলো দিশেহারা হয়ে পড়েছেন । উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রবল স্রোতে বিভিন্ন এলাকার মৎস্য খামার ও পুকুরের প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ জনপদের বেশিরভাগ রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, বসতবাড়ি ধসে গেছে কাঁচা রাস্তা, ব্রিজ কালভার্ট। স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্যানুসারে জানা গেছে, পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে ১৭৬ একর জমির আমন ধান ক্ষেত।নদী ভাঙ্গন পীড়িত এলাকাগুলো হচ্ছে চাঁদখানা ইউনিয়নের সরঞ্জাম বাড়ি,সারো ভাষা, সদর ইউনিয়নের যদু মনি, যুগিপাড়া,ময়দান পাড়া, বজলে মেম্বারের পাড়া, উত্তর দুরাকুটি গ্রামের ময়দান পাড়া সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী অববাহিকায় বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, হুমকির মুখে পড়েছে রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা এতিমখানা ও বসতবাড়ি। নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষের মাঝে বিরাজ করছে হাহাকার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষের দাবী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণের। আজ রবিবার সকালে পানিবন্দি ও ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন আসেন, জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছাঃ রোকসানা বেগম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসার (পিআইও) আবু হাসনাত সরকার, কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান । এ সময় ওই পরিবারগুলোর মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরণে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করে তাদের তালিকা তৈরি করে বিভিন্ন ধরণের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ওই পরিবারগুলোকে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।