নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম কালুর ঘাট সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথার সড়কটি প্রস্থে অনেক বড় হলেও সড়কে অবৈধ গাড়ি পার্কিং ও ফুটপাত দখল করায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকতে দেখা যায়। আরো দেখা যায়,অনেক ড্রাইভার সড়কের মাঝপথে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করে থাকেন আবার অনেকেই গাড়ি রেখে চায়ের দোকানে আড্ডায় মেঠে উঠেন,এর ফলে কালুরঘাট সেতুর পূর্ব পাড় থেকে শহরমুখী গাড়িগুলি নামতে না পেরে যানজট লেগেই থাকে সবসময়, যার কারণে প্রতিনিয়ত জন সাধারনের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। অপরদিকে একই চিত্র দেখা যায় মোহরা ও কাপ্তাই রাস্তার মাথায়,অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজির হাটের অর্ধেক রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছেন এক শ্রেণীর মানুষ। ঐ জায়গায় দুইটি গাড়ি পাশাপাশি যাবার কোন সুযোগ নেই। এড়াছাও কাপ্তাই রাস্তার মাথার দৃশ্য দেখলে মনে হবে সড়কের একপাশ যেন পাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অথচ রাস্তার মাথার সন্নিকটেই রয়েছে পুলিশ বক্স। তারপরও অবৈধ গাড়ি পার্কিং ও মাঝপথে যাত্রী উঠানামা করার বিরুদ্ধে তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনা। অথচ পুলিশ চাইলেই এই সড়কের শৃংখলা ফেরানো কঠিন কোন বিষয় নয় বলে মন্তব্য করছে পথচারীরা। সচেতন মহলের প্রশ্ন সড়কের মাঝপথ পর্যন্ত অবৈধভাবে দখল করে গাড়ি পার্কিং, বাজার ও বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা কতটুকু যুক্তিসংগত? প্রশাসন চাইলেকি এসব অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করতে পারেননা। এছাড়াও বিশেষ করে কালুরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ১নং ও ২নং লোকাল যাত্রীবাহী গাড়িগুলোর বেপরোয়া পার্কিং, লাইন্সবিহীন চালক,যাত্রীদের অহেতুক হয়রানি এর প্রতিবাদ করলেই হেনস্থার স্বীকার হয়েছেন অনেকেই। তাই সম্মাণ রক্ষার্থে তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে চাননা কেউ। অপরদিকে কাপ্তাই রাস্তার মাথার মোড়ে (টেক্সি)সি এন জি থেকে চাঁদা তোলাটা অনেকদিন যাবৎ বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়েছে এই চাঁদা বাজি। যার কারণে কাপ্তাই রাস্তার মাথার মোড়ে সব সময় যানজট লেগে থাকে। তাই কালুরঘাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা পর্যন্ত সড়কটি অবৈধ দখল থেকে মুক্তি করে জনসাধারণের নির্বিগ্নে যাতায়াতের ব্যবস্থার জন্য প্রদক্ষেপ নিতে চট্টগ্রাম-৮ আসনের মাননীয় সাংসদ,বীরমুক্তিযোদ্ধা, আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নব-নিযুক্ত মাননীয় প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজনসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সর্বজনসাধারন।